Contact Information

Commissioner Market (2nd Floor), Farmgate, Dhaka - 1206

We Are Available 24/ 7. Call Now.

বাংলাদেশে প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ১,৩০০-এর বেশি শিক্ষার্থী ও শিশু প্রাণ হারায়, যা দেশের মোট সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ২১ শতাংশেরও বেশি। তুলনামূলকভাবে, উন্নত দেশগুলোতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু মৃত্যুর হার মোট নিহতের মাত্র ৩ শতাংশের কম।

বিগত বছরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, পাশাপাশি বাড়ছে নিহত ও আহতের সংখ্যাও। এ প্রবণতা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)-এর লক্ষ্য অর্জনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্য অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনা এবং এতে মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেক কমিয়ে আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যার ফলশ্রুতিতে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ) এর শিক্ষা (সচেতনতা) কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘এসো নিরাপদে পথ চলি‘ ক্যাম্পেইন শুরু করে।

চ্যালেঞ্জ

সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু ও শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর হার এবং আহতের সংখ্যা কমানো।

সমাধান

সড়ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করা সম্ভব হবে।

এসো নিরাপদে পথ চলি

‘এসো নিরাপদে পথ চলি’ একটি মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন সেশন, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সাধারণ ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কে সচেতন করা হয় এবং সড়ক ব্যবহারে সঠিক নিয়ম-কানুন মেনে চলার অনুপ্রেরণা দেওয়া হয়।

এসো নিরাপদে পথ চলি‘ কার্যক্রমের আওতায় সেশন পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা সচেতনতার স্তর পরিমাপ করা হয়। শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে বিভিন্ন সেফটি সামগ্রী ও উপহার প্রদান করা হয়। এছাড়াও, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক রোড সেফটি ক্লাব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

‘এসো নিরাপদে পথ চলি’ কার্যক্রমের প্রেজেন্টেশন সেশন থেকে শিক্ষার্থীরা যা শিখবে:

  • নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের প্রেক্ষাপট,
  • সড়ক নিরাপত্তার মৌলিক বিষয়বস্তু,
  • সড়ক ব্যবহারকারী হিসেবে করণীয়,
  • ট্রাফিক চিহ্ন ও সাধারণ আইন-কানুন,
  • ট্রাফিক সমস্যা নিরসনে করণীয়,
  • সড়ক নিরাপত্তার স্বার্থে সংগঠিত হওয়া।

সেশনের পাঠ্যক্রম তৈরিতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে:

  • জাতীয় শিক্ষাক্রম: ট্রাফিক ও মূল্যবোধ সংক্রান্ত শিক্ষার বিষয়বস্তু।
  • রোড সেফটি গাইডলাইন: বিআরটিএ, বুয়েট এবং ডিটিসিএ কর্তৃক প্রণীত নির্দেশিকা।
  • প্রশিক্ষণার্থীদের বৈচিত্র্য: মানসিক অবস্থা, ভাষা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স এবং লিঙ্গ ইত্যাদি।

উপরের বিষয়গুলো বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে সেশনের পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে।